Top 5 micro Niche Products Idea for eCommece in Bangladesh

micro Niche

এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে Top 5 micro Niche Products Idea নিয়ে আলোচনা করবো। অনেকেই হয়ত জানেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই মাইক্রো নিস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ই-কমার্স মডেল। অ্যামাজন, ইবে এর মত বড় বড় কোম্পানি যেখানে রাজত্ব করে চলেছে সেখানে একই সাথে মাইক্রো নিস নিয়ে হাজারো eCommerce site ঠিকই প্রফিটেবল বিজনেস করে চলেছে।

বাংলাদেশে অ্যামাজন বা আলিবাবা আসবে শুনে অনেকেই শঙ্কায় আছেন। কিন্তু আপনি যদি একটু মাথা খাটিয়ে যেকোনো একটি নিস বা মাইক্রো প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করেন তাহলে দেখবেন আপনাকে কোনদিন পিছন ফিরে তাকাতে হবেনা। যত বড় জায়ান্টই আসুক না কেন আপনি টিকে থাকবেন।

✍️  রিলেটেড পোস্টঃ  Successful eCommerce Business Model in BD

 

এখন লাখ টাকার প্রশ্ন, কিভাবে শুরু করবেন Niche Products eCommerce? এর কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই, অনেকগুলি স্টেপ এ আপনি একটি Niche Product সাইট শুরু করতে পারেন। তবে সবচাইতে বেশী যে ৫ টি মৌলিক জিনিশ আপনার থাকতে হাবে তা কিছুটা নিন্মরুপ-

১. প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো জানা বা বিস্তর জানা একদম পণ্ডিত বা গুরু লেভেলে জানা থাকতে হবে কোন কোন ক্ষেত্রে
২. প্রোডাক্ট এর সোর্স এবং দাম সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে
৩. নিস প্রোডাক্ট এবং তার সাথে রিলেটেড প্রোডাক্ট নিয়ে গবেষণা করতে হবে
৪. ই-কমার্স সাইট এর বেসিক নিয়ন্ত্রণ করা জানতে হবে
৫. SEO এর জন্য অবশ্যই ভালো দক্ষতা থাকতে হবে

আমি একটু উদাহরণ দিয়ে বলি তাহলে অনেকেরই বুঝতে সুবিধা হবে। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইটে সবচাইতে বেশী বিক্রিত প্রোডাক্ট এর মধ্যে ড্রেস অন্যতম। আর ড্রেস সেল করেনা এমন ই-কমার্স সাইট বাংলাদেশে খুজে পাউয়া মুশকিল। সবাই যেহেতু সেল করছে তাই এই ড্রেস আইটেমে কম্পিটিশন অনেক বেশী তাইনা? আর এখানে প্রফিট করা এখন বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

 micro Niche

এখন আপনি যদি একটি মাইক্রো নিশ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে, চান তাহলে কিছুটা ভিন্ন পথ বেছে নিতে হবে, যেমন একটি ছোট উদাহরণ দেই যাতে আপনার কল্পনা করতে আরও সহজ হয়- সব ড্রেস এর সাথেই বোতাম/ বাটন লাগে, তার মানে দৈনিক বাংলাদেশে যদি ১০ লাখ ড্রেস সেল হয় (শাড়ি বাদে- শাড়িতে বাটন থাকে না 😛 ) আর গড়ে যদি ৫ টি করে বাটন লাগে তাহলে বুঝতেই পারছেন এই প্রোডাক্ট এর মার্কেট কত বড়। তবে সবাই তো আর অনলাইনে কিনবেনা, তাই যদি এক্সক্লুসিভ বাটন নিয়ে যদি শুরু করেন তাহলে অন্তত ড্রেস সেলকারীদের চাইতে ভালো করতে পারবেন।

 

কিন্তু শুধু বাটন পাউয়া যায় এমন কোন ই-কমার্স সাইট কিন্তু এখন পর্যন্ত মে বি বাংলাদেশে নেই। কিন্তু যদি একটি স্মার্টলি চিন্তা করে এক্সক্লুসিভ কালেকশন এর শুধুমাত্র বাটন সেল করেন এবং তা নিয়ে মার্কেটিং করেন, তাহলে অনেকেই চাইবে নরমাল বাতন এর পরিবর্তে একটু ভিন্ন কিছু মানে আপনার কাছ থেকে বাটন কেনার কথা ভাববে। ঠিক কিনা একবার ভেবে দেখুন। এই ভাবে মুল প্রোডাক্ট এ যেহেতু কম্পিটিশন অনেক বেশী তার কোন একটি অংশ নিয়ে ই- কমার্স এর মাধ্যমে সেল করাই  micro niche eCommerce.

 

কেন micro niche eCommerce নিয়ে কাজ করবেন?

অনেক কারনেই micro niche eCommerce মডেল অনেক বেশী পপুলার। তার মধ্যে সবচাইতে যেটি বেশি উল্লেখযোগ্য তা হল,  তুলনামুলক ভাবে কম পুজি নিয়ে কাজ করা যায়।  আপনি যদি কোন একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক ভালো জানেন এবং বুঝেন, সেই প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেট  রিসার্স করে নিজে নিজেই বা অল্প সংখ্যক লোক বা ভার্সিটি লাইফে বন্ধুরা মিলেই এই মডেল এ মিজনেস করা সম্ভব। আবার আপনি চাইলে এই বিজনেস কে অন্য কোন বড় ই- কমার্স সাইটের সাথে টাই আপ করে তাদের প্রোডাক্ট সেল করতে ট্রাফিক জেনারেট করতে পারেন। যা অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং নামে পরিচিত। আপনি অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং করে নিজে কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট না রেখেও কমিশন বেসিস কাজ করতে পারেন। মুল কথা micro niche eCommerce এ ঠিক মত বুঝে সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করে কাজ করলে ফেইল হবার সম্ভাবনা খুবই কম।

 

micro niche eCommerce নিয়ে কাজ করার সুবিধা

  1. কম্পিটিশন তুলনামুলক ভাবে কম
  2. প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকায় কাস্টমার কে সহজে বুঝান এবং ট্রাস্ট অর্জন করা সহজ
  3. যেহেতু প্রোডাক্ট এর সংখ্যা তুলনামুলক ভাবে কম তাই পুজিও কিছুটা কম লাগে
  4. নিস সাইট দিয়ে বড় বড় সাইটের সাথেও পাল্লা দেয়া সম্ভব
  5. প্রফিট মার্জিন ভালো
  6. লোকবল কম লাগে, অর্থাৎ অল্প সংখ্যক লোক দিয়ে বা শুধু একজনের পক্ষেও এই বিজনেস পরিচালনা করা অনেক ক্ষেত্রেই পসিবল

micro niche eCommerce এর অসুবিধা

  1. সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ
  2. প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো জানাশুনা না থাকলে এই মডেল কাজ করবে না
  3. সিমিলার বা একই  প্রোডাক্ট যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে সেল করতে হবে তাই এভার গ্রিন প্রোডাক্ট পাউয়া কিছুটা মুশকিল

 

Top 5 micro Niche Products Idea

  1. Power Bank for micro niche eCommerce

আজকাল আমরা প্রায় সবাই স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করি আর স্মার্ট ফোনের সবচাইতে বিরক্তিকর যে বিষয় তা হল ব্যাটারি ব্যাকআপ। খুব দরকার এর মুহূর্তে দেখবেন মোবাইল এ চার্জ নেই। আর এই সমস্যা সবার ক্ষেত্রেই। এর একটি কুইক সমাধান হল পাউয়ার ব্যাংক। বিভিন্ন পাউয়ার রেটীং এর উপর ভিত্তি করে এবং বিভন্ন ব্র্যান্ড এর শুধু মাত্র পাউয়ার ব্যাংক নিয়ে একটি micro niche eCommerce গড়ে তোলা যেতে পারে।  

আর বিস্তারিত কিছু বলছি না- কারন সব আমি বলে দিলে আপনি আর মাথা বেশী খাটাবেন না আর তাতেই আপনার প্রজেক্ট ফেইল করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই নিজে বাকী টুকু হোম ওয়ার্ক করে নিতে পারেন।

2. 3D printer machine for micro niche eCommerce

এটি একটি নতুন টেকনোলজি প্রোডাক্ট। আপনার যদি টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে, তাহলে ই প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই ধরনের প্রিন্টার অন্তত আগামি ৫/১০ বছর পর্যন্ত অনেক ডেভেলপ করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যাবহার দেখা যাবে। এখন হয়ত দাম বেশী কিন্তু আগামি কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন চাইনিজরা প্রডাকশন শুরু করছে এবং তখন দাম এত কমে যাবে যা আমাদের চিন্তার বাইরে। তাই, আগে থেকেই প্লানিং করে এই প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। ভালো ভবিষ্যৎ আছে। তবে সাবধান- যদি টেকনোলজি নিয়ে কাজ করার এবং প্রচুর স্টাডি করতে আলশি লাগে তাহলে ভুলেও এই পথে যাবেন না।

যেহেতু এটি নতুন টেকনোলজি এবং বলতে পারেন এখনো প্রাইমারি/ সেকেন্ডারি স্টেজে আছে তাই খুব দ্রুত এর টেকনোলজি চেঞ্জ হবে এবং আপনাকে অনেক বেশী স্টাডি করে করে তার সব খোজ খব রাখতে হবে এবং ক্লাইন্টদের জানাতে এবং বুঝাতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে আপনাকে প্রেসেন্টেশন ও দেউয়া লাগতে পারে (কর্পোরেট সেলিং এর ক্ষেত্রে)।

3. All kinds of Combs for micro niche eCommerce

চিরুনি সবারই লাগে হোক সে ছেলে কিংবা মেয়ে। বিভিন্ন ধরনের চিরুনির কালেকশন নিয়ে শুরু করতে পারেন  micro niche eCommerce বিজনেস। দেশি কিংবা বিদেশী, কম দামি থেকে শুরু করে বেশ দামি পর্যন্ত। চাইলে হাজারো ভ্যারাইটি রাখতে পারেন এই সিঙ্গেল ক্যাটেগরি প্রোডাক্ট এর মধ্যেই।

4. Contact lenses for micro niche eCommerce

এটি খুবই চমৎকার একটি প্রোডাক্ট  micro niche eCommerce এর জন্য। ভালো মানের কন্টাক্ট লেন্সের অনেক চাহিদা বাংলাদেশে। আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন তারা কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পর আবার কেনেন। তাই একবার আপনার কাছে থেকে সঠিক দামে ভালো প্রোডাক্ট পেলে আপনি তার কাছ থেকে নিয়মিত অর্ডার পাবেন। তো সতর্কতা হিসেবে আবার বলবো- অবশ্যই এই বিষয়ে আপনার ভালো নলেজ থাকতে হবে।

5. DSLR Camera Bags for micro niche eCommerce

DSLR এখন অনেকের হাতেই দেখা যায়। আরেকটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তাদের সাথে আরও অনেক লেন্স থাকে এবং সব কিছু মিলিয়ে তাদের বিভিন্ন সাইজের ব্যাগ থাকে ক্যামেরা নিরাপদে বহন করার জন্য। যদিও প্রায় সব ক্যামেরার দোকানেই এই DSLR এর ব্যাগ পাউয়া যায় তার পরেও এর একটি ভালো চাহিদা রয়েছে। এটি নিয়েও কাজ করতে পারেন আপনার  micro niche eCommerce সাইট এর প্রোডাক্ট হিসেবে।

বোনাস টিপসঃ

বেশ কিছুদিন আগে একজনকে বুদ্ধি দিয়েছিলাম নিস প্রোডাক্ট নিয়ে কিন্তু সে মনে হয়না তার গুরুত্ব বুঝতে পারছে আর মনেও হয়না সে এই বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহি। তাই সেই আইডিয়া টি এখানে বোনাস হিসেবে শেয়ার করছি। বোনাস হলেও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুবই লুক্রেটিভ প্রোডাক্ট অন্তত ই- কমার্স এর জন্য। আর সেই প্রোডাক্টটি হল “Green Tea” .

আপনি যদি আপনার চার পাশে একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন, মানুষ কেমন যেন মুটিয়ে যাচ্ছে। অনেকে সেটি আবার কমানোর জন্য খুজছে সহজ রাস্তাও। খাবার না কমিয়ে, জিম এ না গিয়ে কিভাবে ভুরি কমানো যায় এমন কিছু মহাঔষধ খুজছেন আর এক্ষেত্রে Green Tea অনেক উপকারি এবং এটি প্রমানিত। এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং আরও অনেক গুন বাড়বে সামনের দিনগুলিতে। দেশি কিংবা বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর ও সাইজের গ্রিন টি নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার এক্সক্লুসিভ নিস সাইট।  

 

পরিশেষে এটিই বলবো, এই ৫ টি আসলে কিছুই না একটু খেয়াল করলেই আপনার চারপাশে হাজার হাজার কিংবা লাখ লাখ এই ধরনের micro niche প্রোডাক্ট দেখতে পারবেন। এই ৫ টি শুধু মাত্র উদাহরণ দেবার জন্য দেয়া হল, এগুলা নিয়ে কাজ করতে চাইলে করতে পারেন তবে অবশ্যই উপজুক্ত মার্কেট রিসার্স এবং আপনার জ্ঞান ঝালাই করে নেবেন।  কম্পিটিশন নেই তার মানে এই না যে আপনি শুরু করে দেবেন। সবার আগে দেখতে হবে তার মার্কেট ডিমান্ড কেমন এবং আপনি অনলাইনে সেল করলে মানুষ কিনবে কিনা। মনে রাখবেন, আপনার পণ্যটি যেন মানুষের জেকন এক বা একাধিক প্রবলেম সল্ভ করে। এমন প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন যা দীর্ঘদিন মানে Evergreen products যা সেল করা যায়।  Evergreen products for eCommerce নিয়ে একটি লেখা যাতে- কিভাবে বুঝবেন কোন কোন প্রোডাক্ট কে এভার গ্রিন প্রোডাক্ট বলা হয়। এভার গ্রিন প্রোডাক্ট নিয়ে ই- কমার্স করার যেসব বেনিফিট তা নিয়ে বিস্তারিত (উদাহরণ সহ অবশ্যই) থাকবে এখানে।

আজ এই পর্যন্তই, আরও কোন কিছু মাথায় আসলে নিশ্চয়ই অ্যাড করে দেবো ইনশা আল্লাহ্‌।

এই লিখাটি যদি আপনার সামান্যতম কাজে আসে বা যদি মনে করেন অন্য কারো কাজে আসতে পারে- তাহলে নিশ্চয়ই শেয়ার করতে ভুলবেন না 😀

5 Comments

  1. ভাই আপনার পোষ্ট পড়ে অনুপ্রেরণ পেলাম। সত্যি আমরা যারা সবে যাত্রা শুরু করেছি তাদের জন্য এটা গুরু বাক্য হিসেবে কাজ করবে । ধন্যবাদ আপনার অবদানের জন্য।
    স্বপ্নবাড়ী

Leave a Reply