Most Successful eCommerce Business Model in Bangladesh

eCommerce Business

বাংলাদেশে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই অনেক টাকা ইনভেস্ট করেও আশানুরূপ রেজাল্ট পাচ্ছেন না। তার অন্যতম কারন হল, সঠিক eCommerce Business Model সিলেকশনে ভুল করা। Quality Products এর দিকে না গিয়ে নিন্মমানের প্রোডাক্ট সিলেকশন, অন্যদের দেখা দেখি শুরু করে, অন্নের প্রোডাক্ট কপি/পেস্ট করে যারা শুরু করেছেন তাদের মধ্যে ৬০% বা তার বেশী সংখ্যক উদ্যোগ এখন পর্যন্ত টিকে থাকলেও সামনের দিনগুলিতে তাদের দেখা যাবার সম্ভাবনা খুবই কম।

শুধু ফেসবুকে বুস্ট করে প্রোডাক্ট সেল করে হয়ত এখন পর্যন্ত ভালো প্রফিট করছেন। কিন্তু সামনের দিনগুলিতে অনেক পরিবর্তন আসবে। কাস্টোমার এর কেনার ধরন পাল্টে যাবে। প্রোডাক্ট সিলেকশনে আমুল পরিবর্তন আসবে। আজ থেকে ২/৩ বছর আগেও যেখানে অনলাইনে শুধু গেজেট আইটেম সেল হত এখন সেখানে অলরেডি দামি প্রোডাক্ট সেল শুরু হয়ে গিয়েছে। ডেলিভারিতে আসবে অনেক পরিবর্তন- Automation এবং Integration এর মাধ্যমে যা কয়েকগুন পর্যন্ত ইম্প্রুভ হবে। পেমেন্ট সিস্টেম এ পরিবর্তন আসবে। কাস্টমার এর বিশ্বাস অর্জন এবং তা ধরে রাখা, নতুন নতুন টেকনোলজি ও সিকুরিটি একটি বড় রোল প্লে করবে।  মুল কথা, eCommerce Business এর সামনের দিনগুলি আরও অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং হবে সেটি নিশ্চিত।

eCommerce Business

 

 

এই লেখাতে আলোচনা করার চেস্টা করবো, কেন বা কি কি কারনে আপনার উদ্যোগ আগামি দিনে হুমকির মুখে পড়তে পারে। কোন বিজনেস মডেল আপনার জন্য সবচাইতে বেশী উপযোগী এবং তা কিভাবে বুঝবেন ইত্যাদি।

 

চলুন তাহলে শুরু করা যাক!!

 

ই-কমার্স কি, কাকে বলে, কিভাবে শুরু করতে হয় এগুলো নিয়ে কোন কথা বলবনা। আমরা যে যত টুকুই জেনেছি তার কমন একটি বিষয় ছিল আর তা হল ই-কমার্স এর প্রতি আগ্রহ। আর ই-কমার্স এর প্রতি আগ্রহ আছে বলেই হয়ত আপনি এখন এই পোস্টটি  পড়ছেন। eCommerce Business নিয়ে জানার কোন শেষ নেই, কেউ বলতে পারবেনা যে আমি  ই-কমার্স সম্পর্কে সব জানি। আর তার চাইতেও যেটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা হল- আপনার জন্য কোনটি বেশী উপযোগী তা নির্ধারণ করা বা বুঝতে পারা।

✍️  রিলেটেড পোস্টঃ Top 5 Niche Products Idea for eCommerce

 

অন্নের জন্য যেটি সাকসেসফুল মডেল আপনার জন্য সেই সেম মডেল ৫ টাকার ও কাজে না দিতে পারে। আর আপনি হয়ত জেনে থাকবেন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ই-কমার্স সাইট বলতে যাদের নাম প্রথমে আসে, তাদের কেউই প্রফিটে নেই। তারা এখনো ইনভেস্ট করে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে ভালো করবে সেই প্ল্যান নিয়ে তারা এগুচ্ছে। তো এখন আমার আপনার যদি সেই ধরনের ইনভেস্ট না থাকে, লোক বল বা টিম না থাকে। তাহলে আমরা eCommerce Business এ কিভাবে টিকে থাকবো বা কিভাবে ভালো করবো? এই প্রশ্নের উত্তর এর দিকে আজ আর জাচ্ছি না, আরেকদিন দেবো ইনশা আল্লাহ্‌।

 

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সবচাইতে জনপ্রিয় ২ টি ই-কমার্স বিজনেস মডেল কিছুটা নিন্মরুপ-

১. eCommerce Business model 1: শুধুমাত্র অনলাইনে সেল 

এখন হয়ত বলতে পারেন, ই-কমার্স তো অনলাইনেই সেল করবে। এর বাইরে সেল করলে ই-কমার্স হল কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ডিটেইল বলছিনা, শুধু এইটুকু বলছি যে ফ্লেক্সিলোড ও কিন্তু এক প্রকারের ই-কমার্স।

এখন বাংলাদেশে শুধুমাত্র অনলাইনে সেল এর ক্ষেত্রে আবার অনেক প্রকারভেদ আছে, যেমন-

  • ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে সেল করা
  • ফেসবুক এ পেজ/ গ্রুপ এর মাধ্যমে সেল করা
  • হাইব্রিড মডেল- মানে ওয়েব সাইট + ফেসবুক পেজ / গ্রুপ এর মাধ্যমে সেল করা

তবে এখন পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলটিই সবচাইতে বেশী পপুলার। তবে নাম্বার এর দিক থেকে ফেসবুক এ পেজ এর মাধ্যমে সেলার এর সংখা অনেক বেশী। অনেকে আবার এখন ফেসবুক এর মাধ্যমে সেল করছেন এবং ভবিষ্যতে ওয়েব সাইট চালু করার ও প্ল্যান আছে এমন সংখ্যাও কম নয়।

 

২. eCommerce Business model- 2: অনলাইন এবং অফলাইন (শরুম আছে এমন)

আমরা প্রতিনিয়ত এতবেশি পরিমানে প্রতারিত হচ্ছি যে আমাদের কোন চিন্তাই সহজ কিংবা সোজা ভাবে আর চিন্তা করতে পারিনা। সব ক্ষেত্রেই  অবিশ্বাস আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গি। আর অনলাইন বিজনেস বা ই-কমার্স সম্পূর্ণ রুপে নির্ভর করে বিশ্বাস এর উপর। শুধুমাত্র ছবি দেখে পণ্য কেনা কিন্তু সহজ কথা নয়। আর ছবির সাথে পন্ন্যের মিল না থাকা একটি কমন কমপ্লেইন (সব ক্ষেত্রে নয় এবং এই অবস্থা দিনে দিনে পাল্টাচ্ছে)। ঢাকার ভিতরে পণ্য দেখে ক্যাশ অন ডেলিভারি তে পেমেন্ট সুবিধা থাকলেও ঢাকার বাইরে সেটি এখনো প্রায় অসম্ভব। তাই তাদের সম্পূর্ণ রুপে বিশ্বাস এর উপরেই নির্ভর করতে হয়।

যাদের সরুন আছে তাদের পক্ষে অনেক কিছুই সহজে করা পসিবল যেমন কাস্টমার আপনার সরুমে এসে পণ্য দেখে নেবার সুবিধা পাচ্ছে। নতুন নতুন কি কি প্রোডাক্ট আসলো আপনার সরুমে না এসেই ঘড়ে বসেই দেখতে পারল। একবার দুইবার কেনার পর সে সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করতে পারবে তখন আর হয়ত চাইবেনা আপনার সরুমে আসতে। সে হয়ত হোম ডেলিভারি প্রিফার করবেন।

eCommerce Business Model

সবাই চায় পণ্য দেখে তার পর পছন্দ হলে পেমেন্ট করে প্রোডাক্ট নেবে। কাস্টমার হিসেবে আপনিও চাইবেন পণ্য দেখে বা অনেকগুলি দেখে পছন্দ করার অপশন থাকলে সেটি অনেক ভালো হত। আগেই বলেছি যে বিশ্বাস করাটা এবং বিশ্বাস করানোটা অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ এই সময়ে।  তাই একটি শরুম আপনার সেই বিশ্বাস করানোর কাজটি অনেক সহজ করে দিতে পারে।

 

এখন প্রশ্ন আপনি কি এখনই প্রফিট করতে চান নাকি এখন অনলাইনে ব্রান্ডিং করে আরও ২/৩ বছর পরে প্রফিট করতে চান?

যদি এখনই eCommerce Business থেকে প্রফিট করতে তাহলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচাইতে পাউয়ারফুল এবং বলতে পারেন সাকসেসফুল ই-কমার্স মডেল ২ টি তবে তার আগে যেটি অবশ্যই ফুলফিল করতে হবে তা হল-

  • এক্সক্লুসিভ প্রোডাক্ট কুয়ালিটি
  • প্রফেশনাল ফটোগ্রাফ
  • সঠিক কাস্টমার এর কাছে সঠিক মাধ্যমে মার্কেটিং করা
  • পুরনো কাস্টমার ধরে রাখা
  • প্রফেশনাল লেভেলের প্রি এবং পোস্ট সেল সাপোর্ট নিশ্চিত করা

অনেকেই এখন বলতে পারেন এই জিনিশ গুলা মেইন্টেইন করতে গেলে তো প্রোডাক্ট এর অনেক দাম হয়ে যাবে- কে কিনবে সেই এত দামি প্রোডাক্ট? এর সহজ উত্তর, আমরা বাংলাদেশিরা কিন্তু এখন আর গরীব না। শুধু দরকার কুয়ালিটি প্রোডাক্ট এবং ভালো সার্ভিস। আপনি ভালো প্রোডাক্ট নিয়ে রেডি থাকুন “টাকা দেবে হাজী সাব“।

উপরের পয়েন্টগুলি যদি সত্যিকার অর্থে ফুলফিল করে প্রফিট করতে চান তাহলে ২ টি  প্রফিটিবল মডেল নিয়ে কাজ করতে পারেন-

 

  • নিজে প্রোডাক্ট এর স্টক রাখা/ ইনভেন্টরি মেইন্টেইন করাঃ

নিজে যখন প্রোডাক্ট সোরসিং করবেন অবশ্যই আপনাকে সেই লেভেল এর চুজি হতে হবে। অন্যদের থেকে আলাদা হতে নিস প্রোডাক্ট খুজে বের করতে হবে। অন্নের সাইট থেকে প্রোডাক্ট আইডিয়া না নিয়ে নিজের মাথাকে একটু প্রেসার দিতে হবে।

স্টক রেখে বিজনেস সবার জন্য প্রফিটেবল নাও হতে পারে। আপনার প্রোডাক্ট সিলেকশন যদি ঠিক না থাকে, সময়মত যদি সেল করতে না পারেন সেক্ষেত্রে অনেক টাকা আটকে থাকার একটি বড় রিস্ক থেকে যায়। তাই প্রোডাক্ট সিলেকশন অনেক বেশী গুরুত্ব পূর্ণ এই মডেল এর ক্ষেত্রে। এটি নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারবেন এই মডেল এ আপনার ইনভেস্ট থাকতে হবে বড় না হলেও মাঝারি সাইজ এর।

eCommerce Business

এই মডেল এ অনেকেই প্রফিট করছেন আবার এখনো অনেকে স্ট্রাগল করে চলেছে। এই মডেলে বিজনেস করতে হলে অল্প কিছু ক্যাটেগরির প্রোডাক্ট নিয়ে এবং খুব ভালো ভাবে স্টাডি করে, প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক জেনে বুঝে তারপরে আসা উচিৎ। আপনার যদি প্রোডাক্ট সিলেকশন ভুল হয় এবং  হুট করে এই eCommerce Business মডেলে চলে আসলে অন্য যেকোনো মডেল এর চাইতে এই মডেল লস হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশী। তার কারন আপনি আটকে পরা প্রোডাক্ট সেল করবেন কোথায়। আর আটকে পড়া প্রোডাক্ট এর মুল দামের ৪০% এও সেল করা কঠিন। অনেকে আবার দেখবেন সেটি সুযোগ হিসেবে ব্যাবহার করবে মানে বাকীতে নিয়ে বছরের পর বছর ঘোরাবে। তাই এই মডেল এ লাগ হয় এইটুকু পরেই এই মডেল এ চলে আসবেন না ভুলেও।

 

  • হাইব্রিড মডেল (সরুম+অনলাইন) এ কাজ করাঃ

এই eCommerce Business মডেল এ আপনার যদি নিজস্ব শরুম থাকে এবং আপনি আপনার বিজনেস কে আরও এক্সপান্ড করতে চান সেক্ষেত্রে এই মডেলটি আপানর জন্ন বেষ্ট একটি অপশন। কাস্টমার আপনার শরুম এ এসে প্রোডাক্ট দেখে নেবার সুযোগ পাবে। কাস্টমার এর বিশ্বাস সহজে অর্জন করতে পারবেন। একটি প্রোডাক্ট এর জন্য এসে সে অনেক ক্ষেত্রেই আরও প্রোডাক্ট কেনার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিছু প্রোডাক্ট জেগুলি মানুষ দেখে পছন্দ হলে পূর্ব পরিকল্পনা না থাকলেও অন্য প্রোডাক্ট এর সাথে এইগুলিও কিনে। এভাবে মাল্টিপল প্রডাক্ট সেল হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

আপনার নিজের অনলাইন শপ এর পাশাপাশি অন্য নামই দামি ই-কমার্স সাইটে মার্চেন্ট হিসেবে সেল করতে পারেন। কিংবা অনেক সাইট এর সাথে টাই আপ হয়ে তাদের সাথে ডিরেক্ট ডিল এ যেতে পারেন। এছাড়াও আরও অনেক ভাবেই অনলাইন+অফলাইন দুটিতেই ভালো করা সম্ভব।

তবে এটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এই মডেলটি অত্যন্ত ব্যায়বহুল এবং স্কিল্ড টিম এর দরকার হয়। একই সাথে শরুম থেকে সেলিং এর জন্য সেলস ম্যান এবং অনলাইনে সেল করার জন্য এক্সপার্ট দরকার হয়। এই হাইব্রিড মডেলে যেহেতু মাল্টিপল প্লেস থেকে সেল হয় তাই স্টক মেইন্টেইন করা অনেক বেশী ব্যায়বহুল।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই মডেলটিই প্রফিট নিয়ে বিজনেস করছে। এই মডেলে ইনভেস্ট বেশী লাগলেও আগের মডেলের চাইতে রিস্ক তুলনামুলক ভাবে কম। যেহেতু এই মডেলে অনলাইন বা অফলাইন এবং বিভিন্ন মার্কেট প্লেস থেকে সেল আসে তাই একদিকে একটু প্রবলেম হলেও অন্নদিকে সেটি কভার আপ করা পসিবল হয়। আর যদি ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট এবং ভাল সার্ভিস দিতে পারেন এই মডেলে চার দিক থেকেই আপনার সফলতা আসার সম্ভাবনা অনেক বেশী।

✍️  রিলেটেড পোস্টঃ Evergreen Products for eCommerce

 

আমরা সবাই শর্টকাট খুজি- সব ক্ষেত্রেই। আর যারা এই আর্টিকেল এতখন পর্যন্ত পড়ে ভাবছেন কোথায় সেই সোনার হরিন যাতে আপনি রাতারাতি $$$$ ম্যান হয়ে যাবেন। তাহলে বলবো ই-কমার্স এ না এসে অন্য কিছু করার চেস্টা করতে। কারন ই-কমার্স একটি জ্ঞান ভিত্তিক বিজনেস যা অনেক সাধনা করতে হয়।  রাতারাতি কিছু হবার কিছু এখানে নেই।

 eCommerce Business

 

পরিশেষে এটিই বলবো অন্যজন যে eCommerce Business মডেল এ সফলতা পেয়েছে বা ভালো করছে ভেবে আপনিও যে সেই মডেলে ভালো করতে পারবেন তা সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করে আপনার উপর। আপনি কিভাবে তার চাইতেও আরও ভালো করলেন তার উপর। তবে একটি কথা মনে রাখা উচিৎ, এখন কাস্টমার অনেক বেশী সচেতন। শুধু প্রোডাক্ট সেল করাই এখন ই- কমার্স নয়। প্রোডাক্ট এর সাথে সাথে কিছু ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। যা অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করবে এবং অন্তত একটি কারন থাকবে আবার আপনার কাছ থেকে আবার কেনার। মনে রাখবেন প্রথম সেল বা একবার সেল করাই বিজনেস এর মুল উদ্দেশ্য নয়। আপনার বিজনেস এ যদি অন্তত ২০% রিটারনিং কাস্টমার না থাকে বুঝতে হবে আপনার বিজনেস এর কাস্টমার বেজ নড়বরে এবং যেকোনো সময় ধস নামতে পারে।  সস্তায় বা কম লাভে পণ্য সেল করলেই যে আপনার কাস্টমার আবার কিনতে আপনার কাছে আসবে তার কোন গ্যারান্টি নেই কিন্তু যদি কিছু এক্সট্রা ভ্যালু অ্যাড করতে পারেন। সেই কাস্টমার আপনার কাছে আবার আসবে সেটি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।

9 Comments

  1. অনলাইন অনলি, হাইব্রিড মডেল, নিজস্ব ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট যে মডেলই হোক না কেন আমার মতে দুটো জিনিস গুরুত্বপূর্ণ-
    ১। ডেলিভারি এবং ভাল সার্ভিস- বাংলাদেশে ই-কমার্সে এখনো একটি উদীয়মান সেক্টর। এখনো এদেশের ১% মানুষও অনলাইনে কেনাকাটা করে না এবং অনেকে অনলাইনে আস্থা পায় না। ক্যাশ-অন-ডেলিভারি মোটেও ভাল পন্থা নয় লেনদেনের জন্যে। ক্রেতাদেরকে যদি কার্ডে বা মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে উৎসাহিত করা হয় তাহলে ভাল ডেলিভারি এবং সার্ভিসের বিকল্প নেই। ভারতে ফ্লিপকার্ট সেটাই করেছে। তারা ভাল সার্ভিস এবং ডেলিভারির উপরে গুরুত্ব দিয়েছে।
    ২। পণ্য বা সেবা বাছাইঃ অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা টার্গেট না করে কেবল পণ্য বিক্রিই করে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান সবার আগেই ঝরে পড়বে। বাছা বাছা কিছু পণ্য নিয়ে সেটার ক্রেতা, চাহিদা বাজার স্টাডি করে যদি দেয়া যায় তাহলে লং টার্মে সমস্যা হবে না। আবার ফ্লিপকার্টের উদাহারণে আসি। ফ্লিপকার্ট ভারতের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিন্তু গত বছরে অ্যামাজনের সাথেও পাল্লা দিয়ে তারা পেরে উঠছিল না। অ্যামাজন যে পরিমাণ পণ্য বিক্রী ও ডেলিভারি দিতে পারে সেটা ফ্লিপকার্ট করতে পারছিল না। এজন্যে ফ্লিপকার্ট নির্দিষ্ট ক্যাটেগরি টার্গেট করে। ফ্লিপকার্ট স্মার্টফোন, গ্যাজেটস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির উপরে জোর দেয় এবং খুবই ভাল করে। একই ভাবে একটি ছোট বা মাঝারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে গড় ধরে সব ধরনের পণ্য বিক্রি না করে বাছা বাছা পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে ভাল ফল পাবে।

    1. Author

      আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

  2. ধন্যবাদ আমি এই সেক্টরে নতুন। বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এগিয়ে গেলে ভাল ফল পাবো। এই লেখা থেকে নিজের মাঝে নতুন ধারণার আবিষ্কার করেছি আশা করি সফল হতে পারবো। আবারো ধণ্যবাদ লেখার মাধ্যমে পথ দেখানোর জন্য

Leave a Reply